ব্লকচেইন ডিজিটাল যোগাযোগের নতুন সম্ভাবনা

 
ব্লকচেইন ডিজিটাল


ব্লকচেইন একটি অদ্ভুত ডিজিটাল যোগাযোগ প্রযুক্তি, যা ডেসেন্ট্রালাইজড লেজারে সংরক্ষিত হয়। এটি শোকজীবন বিকাশে ক্রান্তি আনছে, অর্থনৈতিক লেনদেন সুরক্ষিত করছে, এবং যেকোনো সার্ভার বা মধ্যমবর্তী দলের অভাবে এটি প্রবৃদ্ধি পেয়েছে। এটি ডিজিটাল সম্পত্তি, যেমন NFT, এবং স্মার্ট কন্ট্র্যাক্টসহ বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনে ব্যবহৃত হয়। এটি ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক প্রযুক্তির জন্য একটি নতুন যুগ উপাধি সৃষ্টি করেছে, যেখানে সুরক্ষিত, পুরস্কৃত, এবং প্রস্তুত তথ্য আমাদের সাথে থাকে।

ব্লকচেইন প্রযুক্তি  বলতে কি বুঝায়। 

ব্লকচেইন প্রযুক্তি হলো এমন একটি সংযোজন, সুরক্ষিত এবং ডিস্ট্রিবিউটেড লেজার বা সারি যা ডেটা সংরক্ষণ এবং লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই প্রযুক্তির মৌলিক উদ্দেশ্য হলো একটি সুরক্ষিত এবং ট্রান্সপ্যারেন্ট সিস্টেম তৈরি করা যাতে সকল ভাগীদার তথা নোড একসাথে একটি সাধারিত লেজার মেনে চলতে পারে।

ব্লকচেইনের মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলি হলো:

ডিস্ট্রিবিউটেড 

ব্লকচেইন একটি ডিস্ট্রিবিউটেড লেজার তৈরি করে, অর্থাৎ তার তথ্য সকল নোডে সংরক্ষিত থাকে। এটি একটি কেন্দ্রীয় সার্ভার বা অধিকারী অবলম্বনে নেই, যা একটি ডেটা সংরক্ষণ সিস্টেমে আচরণ করতে বাধ্য থাকে।

ট্রান্সপ্যারেন্ট

ব্লকচেইনে সংরক্ষিত সকল লেনদেন সহীত তথ্য প্রদর্শন করা হয় এবং সকল নোড এটি দেখতে পারে। এটি প্রতিটি ব্যক্তির জন্য সুস্পষ্ট এবং অ্যাক্সেসযোগ্য হয়।

সুরক্ষিত

ব্লকচেইন ক্রিপ্টোগ্রাফি এবং প্রূফ অব ওয়ার্কের মাধ্যমে খুব সুরক্ষিত হয়। প্রতিটি ব্লকে আগের ব্লকের হ্যাশ এবং তার সকল লেনদেনের হ্যাশ রয়েছে, যা একটি ডিজিটাল সীল হিসেবে কাজ করে।

প্রূফ অব ওয়ার্ক (Proof of Work)

কিছু ব্লকচেইন এ প্রূফ অব ওয়ার্ক ব্যবহৃত হয়, যা নতুন ব্লক তৈরি এবং লেনদেন যাচাই করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় এবং এর ফলে নতুন ব্লক তৈরি করতে সময় এবং শ্রম প্রয়োজন।

কনসেনস মেকানিজম

ব্লকচেইনে সকল নোডের মধ্যে একমত হতে হয় যে নতুন ব্লকগুলি সঠিক এবং ভুল তথ্য না থাকে। এই মেকানিজমের মাধ্যমে কনসেনস স্থাপন হয়।

এই বৈশিষ্ট্যগুলির সমন্বয়ে ব্লকচেইন প্রযুক্তি একটি নতুন ধারণা সৃষ্টি করে, যা ট্রান্সপ্যারেন্ট, ডিস্ট্রিবিউটেড, সুরক্ষিত এবং ট্রান্সপ্যারেন্ট সার্ভার সিস্টেমের অধিকারী থেকে মুক্ত।

ব্লকচেইন কত প্রকার ?

ব্লকচেইনের মৌলিকভাবে দুটি প্রকার রয়েছে

পাবলিক ব্লকচেইন (Public Blockchain)

এই প্রকারের ব্লকচেইন সারা জগতের সকল ব্যক্তি ও অঙ্গিকারীদের জন্য অ্যাক্সেসযোগ্য। সকল উইথনেস সহ ট্রান্সয়াকশনসমূহ পাবলিকভাবে অ্যাক্সেসযোগ্য এবং সকল নোড এটি সংরক্ষণ করে। বিশ্বব্যাপী ক্রিপ্টোকারেন্সির উদাহরণ হিসেবে বিটকয়েন একটি পাবলিক ব্লকচেইন উল্লেখ করা যায়।

প্রাইভেট ব্লকচেইন (Private Blockchain)

এই প্রকারের ব্লকচেইন সীমাবদ্ধ এবং কেবল নির্দিষ্ট সদস্যগুলির জন্য অ্যাক্সেসযোগ্য। এটি আমলে বাস্তবায়িত উদাহরণস্বরূপ একটি কোম্পানি বা সংস্থা একটি প্রাইভেট ব্লকচেইন ব্যবহার করতে পারে, যাতে মৌলিকভাবে অ্যাক্সেস এবং নিৰোধ হয়।

এছাড়া, ব্লকচেইনের মধ্যে এডভান্সড ফর্মগুলি হতে পারে, যেমন Consortium Blockchain এবং Hybrid Blockchain, যা একইভাবে একাধিক সৃষ্টির সদস্যের মধ্যে প্রচলিত হতে পারে। এই প্রকার ব্লকচেইন বৈশিষ্ট্যগুলি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যের জন্য ব্যবহার করা হয়, এবং এটি নেটওয়ার্কের স্কেল, সুরক্ষা, এবং সুস্থিরতা সাধারণ কারণে ভিন্ন হয়ে থাকে।

ব্লকচেইন ক্যারিয়ার

ব্লকচেইন ক্যারিয়ার বা ব্লকচেইন ইন্ডাস্ট্রি এখন একটি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এটি বিভিন্ন শখের পেশাদার জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে চানলে আপনার জন্য পাঠকের উপরের সেকশনে উল্লেখ করা ব্লকচেইন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন করা গুরুত্বপূর্ণ।

ব্লকচেইন ইন্ডাস্ট্রিতে কিছু প্রধান ক্যারিয়ার পথের মধ্যে কিছু সাধারণ পথ হলো:

ব্লকচেইন ডেভেলপার: ব্লকচেইন ডেভেলপারদের জন্য প্রধান কাজ হলো ব্লকচেইন এবং স্মার্ট কন্ট্র্যাক্ট ডেভেলপমেন্ট। এই ডেভেলপাররা ব্লকচেইন নেটওয়ার্ক এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রযুক্তিতে দক্ষ হতে পারে এবং স্মার্ট কন্ট্র্যাক্ট তৈরি করতে পারে।

ব্লকচেইন অ্যার্কিটেক্ট: একটি ব্লকচেইন সিস্টেম ডিজাইন করার জন্য অ্যার্কিটেক্টদের প্রয়োজন হতে পারে। এটি সিকিউরিটি, স্কেলাবিলিটি, এবং অন্যান্য সাধারিত জরুরি দক্ষতা সহ ব্লকচেইন নেটওয়ার্ক স্থাপন করতে সাহায্য করতে পারে।

ক্রিপ্টোগ্রাফার: ব্লকচেইন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির উন্নত সুরক্ষা প্রয়োজনে ক্রিপ্টোগ্রাফারদের দক্ষতা প্রয়োজন হতে পারে। এই ক্ষেত্রে ডিজিটাল স্বাক্ষর, কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি এবং অন্যান্য প্রযুক্তির জন্য দক্ষতা অর্জন করা যাতে সুরক্ষিত ট্রান্সযোকশন সম্পন্ন করা যায়।

ব্লকচেইন প্রজেক্ট ম্যানেজার: বড় বা উদাহরণস্বরূপ ব্লকচেইন প্রজেক্টগুলি উন্নত করার জন্য প্রজেক্ট ম্যানেজারদের প্রয়োজন হতে পারে। এই ম্যানেজাররা টেম নির্মাণ করে এবং প্রজেক্টটি সম্পন্ন করতে সাহায্য করতে পারে।

ব্লকচেইন অ্যানালিস্ট: ব্লকচেইন ট্রান্সযোকশন এবং ডেটা পর্যবেক্ষণ করতে ব্লকচেইন অ্যানালিস্টদের প্রয়োজন হতে পারে। এই পেশার প্রতিনিয়ত ব্যক্তিরা ট্রান্সযোকশন হিস্ট্রি এবং ব্লকচেইন নেটওয়ার্কের অনুসন্ধানে জনপ্রিয়।

বিশেষভাবে ব্লকচেইন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন করতে বিভিন্ন অনলাইন কোর্স, সার্টিফিকেট প্রোগ্রাম এবং উপযুক্ত ট্রেনিং প্রোগ্রামে অংশ নিতে এবং ব্লকচেইন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্যারিয়ারে প্রবর্তন করতে অনেক সহায়ক।

 ব্লকচেইন কিভাবে শিখবো?

ব্লকচেইন শেখা হতে পারে একটি দ্বিধা তার বৃদ্ধির দ্বারা, তবে এটি একটি আগ্রহশীল এবং উদ্দীপনা ভরা ক্ষয়ক্ষতি অভিজ্ঞানের জন্য মৌলিকভাবে মৌখিক ও অনলাইন সাধারণ কারণে হতে পারে।

নিচে কিছু উপায় উল্লেখ করা হলো, ব্লকচেইন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি শেখার জন্য:

অনলাইন কোর্স ও মোকশন

ব্লকচেইন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি শেখার জন্য বিভিন্ন অনলাইন কোর্স ও মোকশন উপায়ে পার্টিসিপেট করা যায়। প্রমুখ অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্মে ব্লকচেইন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে কোর্সগুলি উপলব্ধ রয়েছে, যেমন Coursera, edX, Udemy, Khan Academy ইত্যাদি।

বই এবং প্রথম হাতে কলাম থেকে শেখা

ব্লকচেইন ও ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়ে বই পড়া এবং একটি প্রজেক্টে হাতে কলম চালানো অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। "Mastering Bitcoin" এবং "Mastering Ethereum" এর মতো বইগুলি সম্পর্কে পড়া হয়ে থাকে, এবং বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রজেক্ট করা হয়।

একটি ব্লকচেইন প্রজেক্টে অংশ নিন

নিজের হাতে কাজ করতে, একটি ব্লকচেইন প্রজেক্টে অংশ নিতে হতে পারেন। এটি একটি ক্রিয়াশীল অভিজ্ঞান হতে সাহায্য করতে পারে এবং আপনি নিজেকে এই প্রযুক্তির সাথে আরও সান্নিধ্য দিতে পারেন।

কমিউনিটি সঙ্গে যোগদান করুন

ব্লকচেইন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্ষেত্রে বৃদ্ধির জন্য একটি জনবল সঙ্গে থাকা গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন অনলাইন ফোরাম, সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ এবং ইভেন্টে অংশ নিতে সাহায্য করতে পারে।

ব্লগ এবং পোডকাস্ট পর্বে অনুসন্ধান করুন

বিভিন্ন ব্লগ এবং পোডকাস্ট হতে আপডেট প্রয়োজনের জন্য একটি অত্যন্ত ভাল উপায়।

এই উপায়ে, আপনি ব্লকচেইন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি তথা ব্লকচেইন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রযুক্তি শেখা শুরু করতে পারেন।

 ব্লকচেইন বাংলাদেশে

বাংলাদেশেও ব্লকচেইন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রযুক্তি এবং সংজ্ঞান দিতে উৎসাহবর্ধন হচ্ছে। এখানে কিছু বিষয়বস্তুতে বাংলাদেশে ব্লকচেইন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রসার সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়েছে:

বাংলাদেশ ব্লকচেইন ফোরাম

বাংলাদেশে ব্লকচেইন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রযুক্তির উন্নতি সমর্থন করতে বিভিন্ন কমিউনিটি ও প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যেগুলি সাক্ষাতকার, ওয়েবিনার, এবং কোর্সের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান করতে পারে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার

বাংলাদেশে কিছু ওয়েবসাইট, এবং একটি নম্বর দিয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং করার জন্য বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এছাড়া, কিছু প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রতি প্রয়োজনে ব্যবহার করছেন।

ব্লকচেইন প্রজেক্ট

বাংলাদেশে কিছু ব্লকচেইন প্রজেক্ট ও ইনিশিয়েটিভ প্রচুর রয়েছে, যা প্রযুক্তির উন্নতি এবং ব্যবহারকারীরা ব্লকচেইন সম্পর্কে বুঝতে সাহায্য করছে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রসার

কিছু বাংলাদেশী উদ্যোক্তা এবং ব্যক্তিত্বের জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে স্বনিয়ন্ত্রিত প্রসারে অংশ নিয়েছেন।

ব্যাংকিং ও অর্থনীতি

বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংক এবং অর্থনৈতিক সংস্থা ব্লকচেইন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রযুক্তি এবং সংস্থানুসারে কাজ করছে।

এগুলি দেখে বোঝা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশে ব্লকচেইন ও ক্রিপ্টোকারেন্সির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং এই প্রযুক্তিগুলির উন্নতির দিকে অনেক উৎসাহবর্ধন হচ্ছে।

কীভাবে ব্লকচেইন কাজ করে

ব্লকচেইন কাজ করার পদক্ষেপগুলি কোনও একটি প্রোসেসের মাধ্যমে সংগঠিত হয়, যা বিশেষভাবে ক্রিপ্টোগ্রাফি এবং ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং ব্যবহার করে। একটি সাধারিত ব্লকচেইন নেটওয়ার্কে সকল ব্যক্তি বা কম্পিউটার একটি কমপিউটিং নোড হিসেবে প্রবৃদ্ধি প্রদান করে। নোডগুলি একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে এবং নতুন ডেটা এবং লেনদেন বা ব্লক তৈরি করতে সক্ষম।

এটির মূল পদক্ষেপগুলি নিম্নরূপ:

লেনদেন তৈরি হওয়া (Transaction Creation)

ব্লকচেইনে যেকোনো লেনদেন শুরু হয় নোডগুলি থেকে। এটি আমাদের উদাহরণে একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন হতে পারে, যেমন বিটকয়েন লেনদেন বা স্মার্ট কন্ট্র্যাক্টের ক্ষেত্রে কোনও কাস্টম লেনদেন।

লেনদেন যাচাই (Transaction Verification)

প্রতি লেনদেন নোডগুলি দ্বারা যাচাই হয় যাতে সঠিক হয় এবং প্রয়োজনে সহীত যত্ন নেওয়া হয়। যাচাই হওয়া প্রতিটি লেনদেন সঠিক হলে, তা ব্লকে সংযোজন হতে পারে।

ব্লক তৈরি (Block Creation)

লেনদেনগুলি যাচাই হওয়ার পর, একটি নতুন ব্লক তৈরি হয়। এই ব্লকে সমস্ত পূর্ববর্তী ব্লকের হ্যাশ এবং অন্যান্য তথ্য সংযোজন হতে পারে। এরপর, এই ব্লকটি নোডগুলির মধ্যে প্রচারিত হতে পারে।

প্রূফ অব ওয়ার্ক (Proof of Work)

ব্লকটি তৈরি হওয়ার পর, নোডগুলি একটি মজুত কাজ সমাপ্ত করতে হবে, যা কোনও ব্লক তৈরি করতে একটি নিশ্চিত পরিমাণের কম্পিউটেশনাল সময় অনুমোদন করে। এটি হলো প্রূফ অব ওয়ার্ক, যা ব্লকচেইনের নিরাপত্তা বাড়াতে সাহায্য করে।

ব্লক চেইনে সংযোজন (Adding to the Blockchain)

প্রূফ অব ওয়ার্ক সম্পন্ন হওয়ার পর, নতুন ব্লকটি ব্লকচেইনে সংযোজন করা হয়। এটি ব্লকচেইনের শেষে যোগ হয় এবং পূর্বের ব্লকের হ্যাশের উপরে নির্ভর করে।

ডিস্ট্রিবিউটেড নেটওয়ার্কে প্রচার (Broadcasting in the Distributed Network)

নতুন ব্লক তৈরি হওয়ার পর, এটি সকল নোডে প্রচারিত হয় যাতে সবাই তাকে অবগত হতে পারে।

কনসেনস (Consensus)

 নেটওয়ার্কের সব নোডগুলি একমত হতে হবে যে নতুন ব্লকটি সঠিক এবং ভুল তথ্য বা লেনদেন প্রযোজ্য নয়। এটি কনসেনস এবং যাচাইপ্রণালীর মাধ্যমে হয়।

এই পদক্ষেপগুলি মিলে একটি সুরক্ষিত, ট্রান্সপ্যারেন্ট এবং ডিস্ট্রিবিউটেড লেজার তৈরি করে, যা ব্লকচেইনের মৌলিক সৌন্দর্য তৈরি করে।

Binance Academy এর ওয়েবসাইট পরিদর্শন করতে পারেন। এখানে আপনি পাবেন ব্লকচেইন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির সবকিছুর জন্য একটি ওয়ান-স্টপ গাইড, মাইনিং, ট্রেডিং, ক্রিপ্টো ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন, NFT তৈরি এবং বিক্রয়, ক্রিপ্টো ট্রেডিং বট, বিটকয়েন, ব্লকচেইন নেটওয়ার্ক, শব্দকোষ, সোশ্যাল রিকভারি ওয়ালেট, ইথেরিয়াম, বিটকয়েনের ফি-পুরস্কার অনুপাত, ট্রেডিং টিউটোরিয়াল, ওয়ালেট জটিলতা, ব্লকচেইন কী, ক্রিপ্টো গেমিং কয়েন, বিনিয়োগ পোর্টফোলিও তৈরি, ডেটা টোকেনাইজেশন, ও আরো অনেক কিছু।

পরিশেষে ব্লকচেইন হল একটি অপরিবর্তনযোগ্য ডিজিটাল লেনদেন। এটি শুধুমাত্র অর্থনৈতিক লেনদেনের জন্যই প্রযোজ্য নয়, বরং যেকোনো কাজের পরিচালনা রেকর্ড করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি এমন একটি বণ্টনযোগ্য ডাটাবেজ যাতে অংশগ্রহণকারী পক্ষগুলোর মধ্যে সব লেনদেনের নথি করে রাখা যায়। প্রতিটি লেনদেন আবার সিস্টেমের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দ্বারা যাচাই করা হয়। একবার লেজারে কোনো তথ্য প্রবেশ করলে স্থায়ীভাবে তা থেকে যায় এবং কখনো মুছে ফেলা যায় না। ব্লকচেইন প্রতিটি একক লেনদেনের যাচাইযোগ্য রেকর্ড নিয়ে গঠিত হয়।

আরো পড়ুন>>