কম্পিউটারের পরিচিতি ও বিভিন্ন ইতিহাস

কম্পিউটার পরিচিতি

কম্পিউটার হলো একটি গণনাগত ডিভাইস যা তথ্য প্রক্রিয়া ও সংরক্ষণ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি বিশেষভাবে মানুষের জন্য গণনা ও তথ্য প্রদানের জন্য তৈরি করা হয়েছে। কম্পিউটার প্রযুক্তির দ্বারা বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয় যেমন ডেটা প্রস্তুতি, গণনা, গ্রাফিক্স প্রস্তুতি, ওয়েব ব্রাউজিং, গেমিং ইত্যাদি।

এটি মৌলিকভাবে দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে থাকে –ক) হার্ডওয়্যার ও খ) সফ্টওয়্যার। হার্ডওয়্যার কম্পিউটারের মেইন ফিজিক্যাল কম্পোনেন্টগুলি, যেমন: ক) প্রোসেসর, মেমোরি, স্টোরেজ, গ্রাফিক্স কার্ড, ও পাওয়ার সাপ্লাই থাকে।

খ) সফ্টওয়্যার হলো কম্পিউটারের প্রোগ্রাম এবং অপারেটিং সিস্টেম, যা হার্ডওয়্যার এবং ইউজার ইন্টারফেসে মধ্যস্থ হিসাবে কাজ করে।

কম্পিউটার পরিচিতিকটি কম্পিউটার সম্পূর্ণ হোস্ট অফ এপ্লিকেশন এবং সেবা প্রদান করতে সক্ষম হতে পারে, এটি ব্যক্তিগত ভাবে বা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। কম্পিউটার বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মেধার এবং প্রযুক্তির প্রধান অংশ হিসেবে পরিচিত।

কম্পিউটার কি ?

কম্পিউটার একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা একটি প্রোগ্রাম নামক নির্দেশাবলীর সেট অনুসারে ডেটা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করার জন্য ডিজাইন করা হয়। কম্পিউটারগুলি ল্যাপটপ এবং স্মার্টফোনের মতো ব্যক্তিগত ডিভাইস থেকে শুরু করে বড় আকারের সার্ভার এবং সুপার কম্পিউটারগুলিতে বিস্তৃত অ্যাপ্লিকেশন গুলিতে পাওয়া যায়।

কম্পিউটার হল বহুমুখী টুল যা ডেটা প্রসেসিংগণনাগ্রাফিক্স তৈরিওয়েব ব্রাউজিংগেমিং এবং আরও অনেক কিছুর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া ব্যবসাশিক্ষাস্বাস্থ্যসেবাগবেষণা এবং বিনোদন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন ?

কম্পিউটারের উদ্ভাবন একটি জটিল এবং ধীর প্রক্রিয়া যা সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন ব্যক্তির অবদান জড়িত। কম্পিউটার উদ্ভাবনের কৃতিত্ব একক ব্যক্তিকে দেওয়া চ্যালেঞ্জিং। যাই হোকবেশ কিছু মূল পরিসংখ্যান এবং উন্নয়ন কম্পিউটিং প্রযুক্তির বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

একটি উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হলেন চার্লস ব্যাবেজএকজন ইংরেজ গণিতবিদ এবং উদ্ভাবকযিনি ১৮৩০ এর দশকে বিশ্লেষণাত্মক ইঞ্জিন নামে একটি যান্ত্রিক সাধারণ-উদ্দেশ্যের কম্পিউটারের ধারণাটি ডিজাইন করেছিলেন। যদিও ব্যাবেজের যন্ত্রটি তার জীবদ্দশায় সম্পূর্ণরূপে নির্মিত হয়নি। তার ধারণাগুলি কম্পিউটিংয়ের ভবিষ্যতের উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপন করেছিল।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অবদানকারী হলেন অ্যালান টুরিংএকজন ব্রিটিশ গণিতবিদ এবং যুক্তিবিদ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় টুরিং ইলেকট্রনিক কম্পিউটারের নকশাকে প্রভাবিতকারী গণনার একটি তাত্ত্বিক মডেলটুরিং মেশিনের ধারণার বিকাশের মাধ্যমে জার্মান কোডগুলি ভাঙতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

প্রথম ব্যবহারিকইলেকট্রনিকসাধারণ-উদ্দেশ্যের কম্পিউটারটিকে প্রায়শই ENIAC (ইলেক্ট্রনিক নিউমেরিক্যাল ইন্টিগ্রেটর এবং কম্পিউটার) হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ENIAC মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জে. প্রেসার একার্ট এবং জন মাউচলি দ্বারা ডিজাইন ও নির্মাণ করেছিলেন।

পরবর্তীতে উন্নয়নের ফলে অন্যান্য প্রাথমিক কম্পিউটার যেমন UNIVAC, EDSAC, এবং EDVAC তৈরি হয়। সময়ের সাথে সাথেজন ভন নিউম্যানগ্রেস হপার এবং আরও অনেকের মতো অগ্রগামীদের মূল অবদানের সাথে কম্পিউটিংয়ের ক্ষেত্রটি অগ্রসর হতে থাকে।

সংক্ষেপেকম্পিউটারের উদ্ভাবন ছিল একটি সহযোগী প্রচেষ্টা এবং এটিকে একক ব্যক্তিকে দায়ী করা চ্যালেঞ্জিং। এটি কয়েক দশক ধরে অসংখ্য ব্যক্তির কাজ জড়িতপ্রত্যেকেই কম্পিউটিং প্রযুক্তির বিকাশে অবদান রাখে।

আইটি বা তথ্য প্রযু্ক্তি সম্পর্কে ..এখানে ক্লিক করুন

প্রথম কম্পিউটারের নাম কি?

প্রথম কম্পিউটারের নাম "এনিয়াক" (ENIAC)। ENIAC হলো Electronic Numerical Integrator and Computer এবং এটি একটি ব্যক্তিত্বপূর্ণ ডিজিটাল কম্পিউটার ছিল যা ১৯৪৬ সালে তৈরি হয়েছিল। ENIAC কে প্রথম এবং অত্যন্ত বড় ইলেকট্রনিক কম্পিউটার হিসেবে পরিচিত করা হয়।

ENIAC তৈরি করার জন্য এটির ডিজাইন ও নির্মাণ শুরু হয় ১৯৪৩ সালে এবং ১৯৪৬ সালে এটি প্রস্তুত হয়েছিল এবং প্রথম বার প্রদর্শিত হয় ১৯৪৬ সালে। ENIAC একটি বৃহত্তর কম্পিউটার ছিল, যা বেশি তাত্ত্বিক ও ইলেকট্রিকাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি হয়েছিল এবং এটির মূল উদ্দেশ্য ছিল কম্প্যাটেশন এবং যান্ত্রিক গুণ অনুভব করার জন্য ব্যবহৃত হতো।

ENIAC এ তার সুপারিশকৃত আবিষ্কারের প্রযুক্তি সার্থক হয়েছিল, এবং এটি কম্পিউটার বিজ্ঞানের ইতিহাসে একটি মৌলিক উত্থানের ঘটনা হিসেবে মনোনিবেশ হয়েছিল।

কম্পিউটার কত প্রকার?

কম্পিউটার বিভিন্ন ধরণের হতে পারে, তবে তা উপর নির্ভর করে ব্যবহারের উদ্দেশ্য ও ক্ষমতার উপর। মূলত, কম্পিউটার দুই প্রধান শ্রেণিতে বিভক্ত হয়:
ব্যক্তিগত কম্পিউটার (Personal Computer - PC): এই ধরণের কম্পিউটার সাধারণভাবে একজন ব্যক্তি বা একটি পরিবারের ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়। এগুলি মূলত ডেস্কটপ কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, এবং স্মার্টফোনের মধ্যে পরিচিত।
সার্ভার ও মেইনফ্রেম কম্পিউটার: এই ধরণের কম্পিউটার বড় ধরণের কাজ করতে সক্ষম, এবং সাধারণভাবে এটি বড় নেটওয়ার্ক এবং ডেটাবেস সাপ্তাহিক এবং প্রতিস্থানের মাধ্যমে বিচার হয়। এগুলি ডেটা স্টোরেজ, প্রসেসিং পাওয়ার, ওয়েব সার্ভিস এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়।
এম্বেডেড সিস্টেম: এই ধরণের কম্পিউটার অন্তর্নিহিত হয় এবং এটি একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যের জন্য তৈরি করা হয় যেমন: একটি গাড়ির ইঞ্জিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ডিজিটাল ক্যামেরা, মোবাইল ফোন, এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস।
সুপার কম্পিউটার: এই ধরণের কম্পিউটার অত্যন্ত শক্তিশালী এবং গণনা ক্ষমতা বাড়াতে ব্যবহৃত হয়। যেমন: বড় গণনা প্রযুক্তি, বৃহত্তর প্রসেসিং, গণনাগত অনুসন্ধান এবং অতিরিক্ত মৌলিক গণনা।
এই প্রধান শ্রেণিতে কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরণের উপযুক্ত এবং বিশেষ মডেল রয়েছে, তাদের ধরণ হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যারের দৃষ্টিকোণ থেকে হয়।
কম্পিউটারের জনক কে ?
আধুনিক কম্পিউটারের জনক কে ?
সুপার কম্পিউটারের জনক কে ?

কম্পিউটারের জনক হিসেবে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক এবং গণিতবিদের কাজের মাধ্যমে কম্পিউটিং বিজ্ঞানে প্রথম মনোনিবেশ হয়েছে এবং এতে কাজ করেছেন কম্পিউটারের প্রযুক্তি ও বিকাশের জনক হিসেবে মূলধারায় মনোনিবেশকারী কিছু বৈজ্ঞানিক। তবে, এটি একজন ব্যক্তির মৌলিক আইডিয়ার চেয়ে বরং একটি সাধারণভাবে উপযোগী বা প্রযুক্তিগত উন্নতির জন্য একটি সিদ্ধান্তের সমন্বয়ে হয়েছিল

চার্লস ব্যাবেজ (Charles Babbage) কম্পিউটারের জনক হিসেবে পুরস্কৃত হন এবং তার আইডিয়াগুলি ব্যবহার করে অংশগ্রহণকারী অনেক কম্পিউটারের ডিজাইনের জন্য আগমন হয়েছে। ব্যাবেজ ইয়ার্ন নামক একটি মেকানিক্যাল কম্পিউটার তৈরির কাজ করেন। যেটি অসীম গণনা কাজের জন্য তৈরি করা হতো

তাই, ব্যাবেজকে কম্পিউটারের জনক হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তার আইডিয়াগুলি বিভিন্ন ধরণের কম্পিউটার তৈরির প্রযুক্তিতে প্রযুক্ত হয়েছে। অতএবযদিও ব্যাবেজের অবদানগুলি উল্লেখযোগ্যকম্পিউটারের বিকাশে একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা যা বিভিন্ন সময়কাল এবং শৃঙ্খলা জুড়ে অনেক ব্যক্তির কাজকে জড়িত করে।

"আধুনিক কম্পিউটারের জনক" উপাধিটি প্রায়শই অ্যালান টুরিংকে দায়ী করা হয়। অ্যালান টুরিং ছিলেন একজন ব্রিটিশ গণিতবিদযুক্তিবিদ এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানী যিনি তাত্ত্বিক কম্পিউটার বিজ্ঞানের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় টুরিং জার্মান সাইফার ভাঙ্গাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং এনিগমা মেশিনে তার কাজের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত হন। তিনি একটি তাত্ত্বিক কম্পিউটিং মেশিনের ধারণাও তৈরি করেছিলেনযা টিউরিং মেশিন নামে পরিচিতযা আধুনিক কম্পিউটার বিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করেছিল।

এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে কম্পিউটারের বিকাশ সময়ের সাথে সাথে অনেক ব্যক্তির অবদান জড়িত এবং এটি একজন ব্যক্তির একমাত্র অর্জনের পরিবর্তে একটি সহযোগী প্রচেষ্টার অর্জন। তা সত্ত্বেও  অ্যালান টুরিং এই ক্ষেত্রে তার অগ্রগামী কাজের জন্য ব্যাপকভাবে স্বীকৃত।

সুপার কম্পিউটারের জনক হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছিল সেইমুয়াল ওস্কার বেঙ্গটন (Seymour Cray)। বেঙ্গটন একজন আমেরিকান প্রযুক্তিবিদ ছিলেন এবং তার কর্মক্ষেত্রে মহৎ অবদান রয়েছে। তিনি একাধিক সুপারকম্পিউটার তৈরির জন্য প্রস্তুত হন এবং তার তৈরির কাজের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত হলো Cray-1, যা ১৯৭৬সালে তৈরি হয়েছিল এবং তখন এটি একটি মূল্যবান এবং শক্তিশালী কম্পিউটার হিসেবে পরিচিত ছিল।

বেঙ্গটন একজন প্রযুক্তিবিদ হিসেবে বৃদ্ধি করে এবং সুপারকম্পিউটারের প্রস্তুতি তার কর্মের একটি অংশ ছিল। Cray Research নামক একটি কোম্পানি তার কাজের অগ্রগতির জন্য অনেকগুলি সুপারকম্পিউটার তৈরি করে। সেইমুয়াল বেঙ্গটনের সহযোগীদের সাথে এবং তার কর্মক্ষেত্রের অন্যান্য ব্যক্তিদের কাজের ফলে, এই সুপারকম্পিউটারের তৈরি এবং উন্নত হওয়ায় বেঙ্গটন সুপারকম্পিউটারের জনক হিসেবে পরিচিত হয়েছে।

কম্পিউটার দাম কত ?

কম্পিউটারের দাম বিভিন্ন ধরণের এবং বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে। কম্পিউটারের দাম প্রযুক্তিগত স্তর, মডেল, ব্র্যান্ড, গণনা ক্ষমতা, র‍্যামের ধরণ, স্টোরেজ ধরণ, গ্রাফিক্স ক্যার্ড, ইন্টেল বা এএমডির প্রসেসর ইত্যাদির উপর নির্ভর করতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের ডেটা সার্ভারের মতো উচ্চ ক্ষমতা এবং বড় স্কেলের কম্পিউটিং সিস্টেম দরকার হতে পারে। এমন ক্ষেত্রে দাম হতে পারে লক্ষ টাকা থেকে শুরু হয়।

অফিস বা ব্যবসায়িক ব্যবহারের জন্য সাধারণত ডেস্কটপ অথবা ল্যাপটপ কম্পিউটারের দাম প্রায় ৩৫,০০০/- টাকা থেকে শুরু হতে পারে এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ১,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত যেতে পারে।

গেমিং কম্পিউটারের দাম বেশি হতে পারে। কারণ তাদের অধিক গতি, বেশি গ্রাফিক্স ক্যার্ড, বিশেষ প্রোসেসর ইত্যাদি থাকতে পারে। এই ধরণের কম্পিউটারের দাম শুরু হতে পারে ৬০,০০০/- টাকা থেকে এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ২,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত যেতে পারে।

কম্পিউটারের দাম প্রভাবিত হতে পারে তাদের বৈশিষ্ট্য, কম্পনেন্টস, ব্র্যান্ড, ডিজাইন, এবং সুবিধার উপর নির্ভর করে। অধিকাংশ ব্যবহারকারীরা তাদের কাজের জন্য উপযুক্ত কম্পিউটার চয়ন করতে প্রাথমিকভাবে তাদের প্রয়োজনীয়তা এবং বাজেটের উপর ভিত্তি করে।

কম্পিউটারে ব্যবহৃত অপারেটিং সিসটেম এর নাম :

কম্পিউটারে ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেমের নাম শুরু হয়েছে ব্যক্তিগত কম্পিউটারের জন্যে তৈরি করা "Single and Multi-Tasking System" বা "Multiprogramming System" এটির মধ্যে অধিকাংশই Assembly Language দিয়ে লেখা থাকতো।

পরবর্তীতে, "Batch Processing System" প্রবর্তন হয়। এই সিস্টেমে একটি ব্যবহারকারী তার কাজগুলি তৈরি করে সাবমিট করতে থাকতো এবং এই কাজগুলি সিস্টেম একত্রে প্রসেস করতো।

পরবর্তীতে, "Time Sharing System" বা "Multi-User System" প্রবর্তন হয়, যেটি একই সময়ে একাধিক ব্যবহারকারীর জন্যে সেবা দেয়।

এরপরে, "Personal Computer (PC) Operating System" যা একজন ব্যক্তির ব্যবহারের জন্যে তৈরি হয়। MS-DOS, Windows, Mac OS এই সিস্টেমগুলি এই ধারার অংশ।

সহজ কথায়, অব্যাহত ব্যবহারের জন্যে একটি উপযুক্ত অপারেটিং সিস্টেম হতে হবে, যা ব্যবহারকারীর সহজতর করে দেয় কম্পিউটার ব্যবহার করতে।

কম্পিউটার সম্পর্কে আমাদের এই একবিংশ শতাব্দীতে গুন বা বৈশিস্ট্য ব্যাখ্যা করে শেষ করা যাবে না। কেননা প্রতিনিয়ত কম্পিউটার এর বিকাশ ঘোটানো হচ্ছে। তবে বেশি কিছু নিয়ে চিন্তা না করে যদি নিম্নক্ত শ্লোগানকে বিশ্লেষন করলে বুঝা যায় কম্পিউটারের ব্যাপকতা কত "প্রযুক্তির আধুনিক মহাশক্তি: কম্পিউটার" 

আরো পড়ুন>>